জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল উপকূলে তাণ্ডব শুরু করেছে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় হেইশেন। এটি আছড়ে পড়েছে দক্ষিণ কায়সু দ্বীপে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস- প্রবল গতির এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতোমধ্যে এই ঝড়ের জন্য ৭০ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় হেইশেনকে ‘ব্যাপক শক্তিশালী’ এবং ‘বৃহৎ ঝড়’ ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়েছে। এর আগে জাপানে তাণ্ডব চালিয়েছে মেসাক নামে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। হাইশেনের কেন্দ্রে অ্যাটমোস্ফেরিক চাপ থাকছে ৯২০ হেক্টোপ্যাস্কাল। হাওয়ায় এর শক্তি প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কায় বন্ধ রাখা হয়েছে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানা, বিদ্যালয় ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বাতিল করা হয়েছে কয়েকশ বিমানের ফ্লাইট এবং ট্রেন সেবাও।
পূর্বাভাস বলছে, প্রবল গতিতে হাওয়া বইবে এই জলোচ্ছ্বাসের কারণে। এতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি, ভূমিধস এবং উপকূল এলাকায় ব্যাপক সামুদ্রিক বন্যার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।