চীনা গোয়েন্দা হ্যাকাররা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তথ্য চুরির চেষ্টা চালিয়েছিল। শুধুমাত্র ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোই নয়, তারা নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য বিদ্যালয়ের গবেষণার তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে।
রাশিয়ার প্রিমিয়ার ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস এসভিআর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ব্রিটেনের ভ্যাকসিন গবেষণা নেটওয়ার্কগুলোতে চীনা গোয়েন্দা হ্যাকাররা গুপ্তচরবৃত্তির চেষ্টা চালিয়েছিল। ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ফাইবার অপটিক কেবলস এটা শনাক্ত করে। ভ্যাকসিন গবেষণাসম্পর্কিত তথ্য চুরির লক্ষ্যে ইরানও অনেক চেষ্টা চালিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র তার বিরোধীদের গুপ্তচরবৃত্তি চিহ্নিত করতে নিজস্ব প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে এবং তথ্যের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি বড় গুপ্তচর সংস্থা সবাই কী কী অনুসন্ধান করছে সেটা জানার চেষ্টা করছে। বর্তমান এবং সাবেক অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, কোভিড-১৯ বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মিশন শিফট করেছে। এটা নতুন এক উত্তেজনাকর লড়াইকে উসকে দিয়েছে গুপ্তচর বনাম গুপ্তচরদের।
গুপ্তচরবৃত্তিবিষয়ক এক পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ বলেন, বিরোধীরা যখন আমেরিকান গবেষণার তথ্য চুরির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, ওয়াশিংটন তখন সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে রক্ষা করছে বিশ্ববিদ্যালয় ও করপোরেশনগুলোকে।