ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে পুলিশ হেফাজতে নৃশংস নির্যাতনে বাবা-ছেলের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।রাজ্যের তুতিকোরিন শহরে লকডাউনের মধ্যে নির্ধারিত সময়ের পরও দোকান খোলা রাখার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় ভারতজুড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।রাজ্য কংগ্রেস সিবিআই তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
ভারত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান টুডের অনলাইন সংস্করণ বলা হয়েছে, পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু বাবা-ছেলে হলেন পি জয়রাজ (৫৮) ও ফেনিক্স ইমানুয়েল (৩১)।রাজ্যের তুতিকোরিন শহরে মুঠোফোনের দোকান চালাতেন তাঁরা। ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ১৯ জুন।ঘটনার দিন রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে দোকানের শাটার নামাতে যান জয়রাজ। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর কেন দোকান বন্ধ করা হচ্ছে, তা নিয়ে এলাকায় টহল পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাবা-ছেলের কথা-কাটাকাটি হয়।এ ঘটনার প্রেক্ষিতে পরের দিন রাত পৌনে ৮টা নাগাদ স্থানীয় সাথানকুলাম থানার এক উপপরিদর্শক একদল পুলিশ সদস্যকে নিয়ে দোকানে হাজির হয়ে আগের দিনের ঘটনা নিয়ে জয়রাজের সঙ্গে নতুন করে বাদানুবাদে জড়িয়ে পরে পুলিশ।বাদানুবাদের একপর্যায়ে জয়রাজকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। বাবাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে দেখে ছেলে ফেনিক্স আটকাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে আইনজীবী নিয়ে থানায় যান ফেনিক্স। কী অপরাধে তাঁর বাবাকে থানায় আনা হয়েছে, তা পুলিশের কাছে জানতে চান তিনি। সদুত্তর না পেয়ে পুলিশের সঙ্গে ফের তর্ক শুরু হয়। পরে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আইনজীবী ও ফেনিক্সের বন্ধুদের চলে যেতে বলা হয়।
এদিকে বাবা-ছেলের আইনজীবী জানান,২২ জুন (সোমবার) হাসপাতাল থেকে একটি উপসংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় জয়রাজ ও তাঁর ছেলে ফেনিক্সকে। সেখানে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সন্ধ্যায় কোভিলপট্টি হাসপাতালে পাঠানো হলে সন্ধ্যায় ফেনিক্স আর মঙ্গলবার (২৩জুন) সকালে তাঁর বাবা মারা যান।