গত ০৪ আগস্ট লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে দেশটি খুব ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ভয়ানক বিস্ফোরণের পর আন্দোলনের মুখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তবে এরপরও দেশটির প্রেসিডেন্ট ও স্পিকারের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন অব্যাহত থাকে। বৃহস্পতিবার (১৩ আগষ্ট) দেশটির সংসদ জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়। ফলে দেশটির ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর হাতে।
বৈরুতে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের পরে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত ও ৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এই বিস্ফোরণের পর দিন (০৫ আগস্ট) দেশটির মন্ত্রিসভা ১৪ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা অনুমোদন করেছিল।
আল জাজিরা জানায় দেশটির সংসদ জরুরি অবস্থার জন্য বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) ভোট দেয়। যেটি আইনগতভাবে সঠিক ছিল।
এর ফলে সেনাবাহিনীকে বাকস্বাধীনতা, যে কোনো সমাবেশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ,বাড়িতে প্রবেশ করে যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারে অনুমতি দেয় ; যা নিরাপত্তার হুমকি বলে গণ্য হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচ আর ডাব্লিউ) এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো জানায় যে বিচারগুলো সামরিক আদালতে স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে খাপ খায় না।
দেশটিতে জরুরী অবস্থা অনুমোদন করার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ বেড়েছে। তারা জানায় যে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষভকারীদের থামাতে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিবে।