লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবারের (০৪ আগস্ট) ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ জনে দাড়িয়েছে।এছাড়াও এই বিস্ফোরনে আহত কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষ। এছাড়াও গৃহহীন হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ।দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব এ ঘটনায় বুধবার (০৫ আগস্ট) থেকে শুক্রবার (০৭ আগস্ট) সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
৪ই আগষ্ট এক বৈঠকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বলেছেন, রাজধানী বৈরুতের একটি গুদামে প্রায় ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুদ ছিল এবং তাই বিস্ফোরিত হয়েছিল।পরে হাসান দিয়াব আরও বলেছেন, এটি অগ্রহণযোগ্য যে, কোন ধরণের সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া প্রায় ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট একটি গুদামে ছয় বছর ধরে ছিল।এছাড়াও তিনি জানান যে, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা মেনে নেওয়ার মত না এবং এই ইস্যুতে আমরা চুপ থাকতে পারি না এবং যারা এই বিপর্যয়ের সাথে জড়িত তাদের শাস্তি পেতে হবে।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার (৪ই আগষ্ট) বৈরুতে বিস্ফোরণে্র সময় এলাকার কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। বন্দর এলাকার এই ঘটনায় পুরো শহর ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠেছিল। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫০ মাইল দূরে এই কম্পন অনুভূত হয়। বিস্ফোরণের পর সেখানে ব্যাপক ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। আশেপাশের অনেক ভবনের জানালার কাচ ভেঙে গেছে।
দেশটীর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান জানান, এখনো অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের স্বজনদের খোঁজ করছে মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে। বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য সময় প্রয়োজন।
বৈরুতে এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেবাননের মানুষদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। তিনি এই বিস্ফোরণকে ‘ভয়ানক হামলা’ বলে আখ্যায়ীত করেছে। এছাড়াও তিনি জরুরিভাবে উদ্ধার কাজে সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে,লেবাননকে এ দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইরান ও ইসরায়েল সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।