আজ ভোর ৬টা থেকে ওয়ারীতে শুরু হয়েছে ‘লকডাউন’। ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত ঢাকার ওয়ারীর বাসিন্দাদের টানা ২১ দিন থাকতে হবে ‘ঘরবন্দি’। ২৫ জুলাই পর্যন্ত থাকবে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে কড়াকড়ি।
এই রেড জোনের আওতায় থাকছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু সুলতান সড়ক, জাহাঙ্গীর সড়ক, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) আউটার সড়ক এবং ইনার সড়ক হিসেবে লারমিনি সড়ক, হরে সড়ক, ওয়ার সড়ক,র্যাঙ্ককিন সড়ক এবং নওয়াব সড়ক।
গতকাল শুক্রবার (০৩-০৭-২০২০) এসব এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে টানানো হয়েছে ‘লকডাউন’ লেখা ব্যানার। মোড়ে মোড়ে বাঁশ দিয়ে বানানো হয়েছে ব্যারিকেড।
রেডজোনের আওতাভুক্ত এলাকায় থাকবে ২১ দিন সাধারণ ছুটি। বন্ধ থাকবে এলাকার সরকারি-বেসরকারি সব অফিস-কারখানা। এ এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা বসবাস করেন, তারাও থাকবেন ছুটির আওতায়।
শুধুমাত্র ওষুধের দোকান ব্যতীত সকল প্রকার দোকান-পাট বন্ধ থাকবে।
পুলিশ জানায়, লকডাউন শুরু হলে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া নিষেধ। এসব এলাকার ভেতরে সব ধরনের চলাচল বন্ধ, নিয়ন্ত্রিত থাকবে প্রবেশ বা বের হওয়ার সুযোগ।
২১ দিনের লকডাউনের জন্য প্রস্তুতি নিতে অনেককে দেখা যায় কেনাকাটায় ব্যস্ত ।
এর আগে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে পরীক্ষামূলকভাবে রেড জোন ঘোষণা করা হলে ২১ দিন লকডাউন চলে। আজ থেকে তা শুরু হচ্ছে ওয়ারীতে।
রিকশায় করে মাইকিংয়ে বলা হচ্ছিল- ‘একটি জরুরি ঘোষণা, আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর ওয়ারী এলাকা ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হলো। লকডাউন চলাকালে সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ থাকবে। রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। সকলকে ঘরে থাকার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
‘লকডাউন’ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি থাকবে সেনাবাহিনীর টহল। এছাড়াথাকবেন স্বেচ্ছাসেবীরা। বলধা গার্ডেনের কাছে থাকবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম।
দুটি প্রবেশ পথ ব্যতীত ওয়ারীর ২১টি পয়েন্টের রাস্তা-অলি-গলির প্রবেশ পথ বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ থাকবে। কেউ জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে চাইলে উপযুক্ত প্রমাণপত্র লাগবে। এছাড়াও ব্যবস্থা থাকবে ই-কর্মাসের মাধ্যমে আসা জরুরি জিনিসপত্র বাসা-বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার।
স্থানীয় কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো বলেন, ‘সব প্রস্তুতি আমাদের শেষ পর্যায়। ভোর থেকে ২১ দিনের কার্যক্রম আমরা সুন্দরভাবে শুরু করতে পারব। সিটি মেয়র সবকিছু তদারকি করছেন। টাইম-টু টাইম খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।’