ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের প্রায় ২১ শতাংশকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মাথায় ৯০ শতাংশ রোগী মারা গেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দীন বলেন, মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা গেছে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁরা অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন।এমনকি অনেকে চিকিৎসা শুরুর পূর্বেই মারা গেছেন।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরো বলেছে, হাসপাতালে ভর্তির প্রথম ১২ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং এক দিনের মাথায় ৯০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রতিটি মৃত্যু গভীরভাবে খতিয়ে দেখে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ।তবে ঢামেক কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯-এ শুধু তাদের মৃত্যুর তথ্য লিপিবদ্ধ করছে, যাঁদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নিশ্চিত প্রমাণ আছে।এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়াদের পরীক্ষা বেঁচে থাকতে বা মৃত্যুর পর হয়নি। কর্তৃপক্ষের হিসাবে মতে,গত ২ মে করোনা ইউনিট চালুর পর সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৩১৬ জন।সোমবার (২২ জুন) বেলা তিনটা পর্যন্ত মারা গেছেন ১৮৫ জন। এতে মৃতের হার ৬ শতাংশের কিছু ওপরে।
তারপরও আনুষ্ঠানিক হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মৃত্যুহার সাড়ে ৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।