সরকার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজকে জবাবদিহির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষ যেন আঞ্চলিক সদর দপ্তর স্থাপন করে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। তাছাড়া দেশের যেকোনো জায়গায় বড় কোনো অপরাধের ঘটনা ঘটলে তা তদন্ত করার জন্য সব গোয়েন্দা সংস্থাকে নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করতে। আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার এ বৈঠক সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রধান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে কমিটির প্রধান আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন,ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রচার করা হয়। এগুলোতে বিজ্ঞাপন আছে। এসব বিজ্ঞাপন কারা কিভাবে দেয় সেটা যাচাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পারমিশন নেই, লাইসেন্স নেই টিভি বলেন অথবা অনলাইন বলেন তারা চালাচ্ছে। বিটিআরসিকে এগুলো দেখার জন্য অনুরোধ করেছি। যাঁরা এগুলো চালাবেন তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে। জবাবদিহির জন্য তাঁদের তালিকা এবং লাইসেন্স দরকার। কতগুলো চলছে তার সঠিক কোনো হিসেব নেই। ইলেকট্রনিক মিডিয়া অথবা প্রিন্ট মিডিয়ায় কোনো মিথ্যা সংবাদ প্রচার হলে মামলা হয়। ইলেকট্রনিক মিডিয়া বলেন আর প্রিন্ট মিডিয়া বলেন জবাবদিহি আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এসব এত বেশি হয়েছে, কোন দিক দিয়ে কে কী বলছে জানে না। অ্যালার্মিং হয়ে গেছে সাইবার অপরাধগুলো। ভারতে সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আঞ্চলিক সদর দপ্তর আছে। আমাদের দেশে নেই। তাই আমাদের বাংলাদেশে যাতে এগুলোর আঞ্চলিক সদর দপ্তর করা হয় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বন্ধ করতে চাই না আমরা। নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। জবাবদিহির মধ্যে রাখতে চাই।’