A story of neglect শিরোনামের একটি নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজের প্রিন্ট ভার্সনে। এতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নানা বিষয়ের প্রশংসা করা হয়েছে। মুনসুর আহমেদ ১২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ওই নিবন্ধটির লেখক। শুরুতেই তিনি বলেছেন, দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয় সামাজিক খাতে অর্থপূর্ণ বিনিয়োগ ছাড়া। প্রবৃদ্ধির পথ খুলে দেয় অর্থপূর্ণ বিনিয়োগ। প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াও যারা একসময় তলাবিহীন ঝুড়ির তকমা পেয়েছিল অর্থাৎ বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমিয়েছে সামাজিক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে।
এখন পাকিস্তানের চেয়েও বেশি বাংলাদেশের মাথাপিচু আয় এবং ভারতের পরই বর্ধনশীল অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান। অন্যদিকে গত দুই বছর ধরে ক্রমাগতভাবে কমছে পাকিস্তানের মাথাপিচু আয় এবং আফগানিস্তানের চেয়েও কম প্রবৃদ্ধি।
সামাজিক খাত হল স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর মুক্তি। এইসব খাতে বিনিয়োগ করা মানেই শুধুমাত্র উচ্চ শিক্ষায় বিনিয়োগ নয়। বাংলাদেশ বেশি পদক্ষেপ নিয়েছে নারীদের উন্নতির জন্য এই অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের তুলনায়। তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের। তারা পরিবর্তন এনেছে নারীদের জীবনমানেও, সফল পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির মাধ্যমে শুধুমাত্র গর্ভধারণই কমায়নি। সমান অধিকারের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পরিকল্পনাকারীরা কাজের মূল্য দিচ্ছে আন্তরিকতাহীন। এই অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হার সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানের। ১৯৯০ সালের দিকে বাংলাদেশে টেক্সটাইল ইন্ড্রাসটি চালু করা হয়। এখন ৮০ শতাংশ কর্মী নারী। এটি আয় এবং জীবনমান দুটোরই উন্নতি করেছে তাদের। বাংলাদেশের নারীরা এখন অনেক অর্থ খরচ করেন পারিবারিক সুস্থতা রক্ষায় এবং সন্তানদের লেখাপড়ায়। কিন্তু ঠিক উল্টো চিত্র এই পাকিস্তানে।