লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের দাম।বাজার দর যাচাই করে দেখা যায় শুধুমাত্র আলুর দাম প্রতি কেজিতে ১১১ শতাংশ বেড়েছে।খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আলুর দাম এখন ৬০ টাকা।যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি’র তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় এবার আলুর দাম বেড়েছে ১১১ শতাংশ।সবজিসহ বেশকিছু পণ্যের দাম বেড়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও সব ধরনের সবজির দাম। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সীমিত আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের এক তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের চেয়ে এবার ৪০ লাখ মেট্রিক টন আলু কম উৎপাদন হয়েছে। জানা গেছে, গত বছর এক কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছিল। এবার উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৮৫ লাখ মেট্রিক টন। এছাড়াও, হিমাগারগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন আলু ফেলে রেখেছেন বেপারিরা।এ সব কারণে আলুর বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতা মোস্তাকিম বলেন, ‘প্রতিবছর এই সময়ে এক প্রকার নতুন আলু বাজারে আসে। এবার বৃষ্টির কারণে সেই আলু লাগাতে পারেননি কৃষকরা। ফলে পুরনো আলু দিয়ে সব কাভার করতে হচ্ছে। এই সুযোগটা নিয়েছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।’
তিনি বলেন, ‘ হিমাগারে এখনও ৪০ লাখ মেট্রিক টন আলু রয়েছে। এই আলু অনেকেই বাজারজাত না করার কারণে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে।’ মোস্তাকিম আশরাফের মতে, অসৎ কিছু আলু ব্যবসায়ী এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সবজির বাড়তি দাম থেকে বাঁচতে মানুষ আলুর ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে। এর সঙ্গে অতি-মুনাফাখোরদের সিন্ডিকেটের কারণে এই পণ্যটির দাম ৬০ টাকায় ঠেকেছে।’ অপরদিকে পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও চাল ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে লাগামহীন। দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতির চাপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ওপর।