জেকেজি হেলথ কেয়ারের সংগ্রহ করা করোনার নমুনা পরীক্ষা জালিয়াতির মামলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হুসেইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।রাজধানীর তেজগাঁও থানা-পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা হাসানাত খন্দকার এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাবরিনাসহ এ মামলার মোট আসামি সাতজন। অন্যরা হলেন সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী, আরিফুলের ভগ্নিপতি সাঈদ, কর্মকর্তা-কর্মচারী হুমায়ুন কবির, তানজিনা পাটোয়ারি, মামুন ও বিপ্লব।
এর আগে রোববার (১২ জুলাই) সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের তেজগাঁও ডিভিশনে আনা হয়ে।পরে তাঁকে জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।এদিকে পুলিশের আর্জির ভিত্তিতে ঢাকার আদালত সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য,করোনার মহামারিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেকেজিকে ৪৪টি বুথ স্থাপন করে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছিল।চুক্তি অনুযায়ী শুরুর দিকে তারা বিনা মূল্যে নমুনা সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাচ্ছিল।তবে এক পর্যায়ে তারা বাসা থেকে ৫ থেকে ৮ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে পরীক্ষা করতে শুরু করে।এদিকে শেষেরদিকে নমুনা পরীক্ষা না করেই তারা প্রতিবেদন দেয়া শুরু করে।জেকেজির কাছ থেকে জব্দ করা ল্যাপটপে এমন ১৫ হাজার ভুয়া সনদ পেয়েছে পুলিশ।